পূজা চেরি। অভিনেত্রী। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত দুটি বড় বাজেটের সিনেমা ‘গলুই’ ও ‘শান’। দুটি ছবিই হাউসফুল। ঈদের দিন থেকেই ছবি দুটির প্রচারণায় হলে হলে ঘুরছেন। এ দুই ছবি ও বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়ার পর ঈদে প্রথমবারের মতো আপনার অভিনীত দুটি সিনেমা মুক্তি পেল। কেমন লাগছে?
এক কথায় অসাধারণ। নায়িকা হওয়ার পর ঈদের মতো বড় উৎসবে প্রথমবার আমার দুটি ছবি মুক্তি পেল। শুরুতে কিছুটা স্নায়ুচাপে ছিলাম। ঈদের দিন থেকে যখন ছবি দুটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ দেখলাম, তখন সব চিন্তা দূর হয়ে গেছে। দেশের সব মাল্টিপ্লেক্সসহ ‘শান’ চলছে ৩৫টি সিনেমা হলে। অন্যদিকে, ‘গলুই’ চলছে ২৯টি হলে। ঈদের দিন প্রথমে সিনেপ্লেক্সে গিয়ে ‘গলুই’ দেখেছি। কারণ, এটি আমার আর শাকিব খানের প্রথম সিনেমা। এরপর সিয়ামসহ সবাই মিলে মধুমিতা সিনেমা হলে গিয়ে ‘শান’ দেখেছি। দুই ধরনের চলচ্চিত্র দুটি। তাই দর্শকদের কাছ থেকেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমিও মুগ্ধ হচ্ছি। দর্শকদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। ঈদের এই সময়ে দর্শকরা ছবি দেখে আনন্দ পাচ্ছেন, একাত্ম হতে পারছেন- এটাই তো অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার।
তাহলে কি এবারের ঈদ সিনেমা হলেই কেটেছে?
এবারের ঈদ দর্শকদের সঙ্গে উদযাপন করেছি। দারুণ সব অভিজ্ঞতাও হয়েছে। দর্শকদের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ঈদ পার করেছি। আমার ছবি নিয়ে তাদের অনুভূতিগুলোও মন দিয়ে শুনেছি। যা আমার আগামী দিনের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে বলে মনে করি।
দুটি ছবির মধ্যে কোনটিকে আপনি এগিয়ে রাখছেন?
দুটিই আমার ছবি। দেখুন, আপনি যখন সামনে দুই হাত বাড়িয়ে দেবেন, তখন দেখবেন দুটি হাতই কিন্তু সমান। ফলে দুটি ছবিই আমার কাছে সমান গুরুত্বের। সে কারণে আমি আমার ভক্ত ও দর্শকদের দুটি ছবিই দেখার আহ্বান জানিয়েছি। কারণ, ‘শান’ অ্যাকশন ঘরানার ছবি আর ‘গলুই’ রোমান্টিক ঘরানার। আমি এই ক’দিনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে ঘুরেছি, যখন যেখানে গিয়েছি সেখানেই হলভর্তি দর্শক দেখেছি। দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে কেমন লেগেছে?
অসাধারণ। শুটিংয়ের আগে ও পরে তিনি অনেক বিষয় নিয়ে বলেছেন। ছবিটি মুক্তির পর নিউইয়র্ক থেকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
এবার আপনার ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার কথা বলুন…
কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘মাসুদ রানা’ সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল আজিজ। এতে সোহানা চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। সোহানা একজন জিমন্যাস্ট। ফলে অভিনয়ের আগে আমাকে একজন পেশাদার জিমন্যাস্টিকসের মতোই অনুশীলন করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, শুটিংয়ের সময় বিকেএসপিতে বেশ কয়েকজন জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষক ছিলেন। তারা চরিত্রটি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে বেশ সহযোগিতা করেছেন। এই ছবির একটি অংশের দৃশ্যধারণ হয়েছে চট্টগ্রামে। সেখানে ৮ দিনের শুটিংয়ে যে দৃশ্যগুলোর চিত্রায়ন হয়েছে, তার প্রতিটি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। ২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের গায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলে থাকতে হয়েছে। একটা দৃশ্যে আবার পাহাড়ের ওপর মারধরও করতে হয়েছে। সেসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে বুক, পিঠ ও পায়ে আঘাতও পেয়েছি। আর এর সবই ছিল আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে প্রথমবারের মতো কোনো ডামি ছাড়াই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলাম। আমি জানতাম, একটু উনিশ-বিশ হলে স্পটডেথ। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি।
Leave a Reply