হুমায়ুন আবিদ
কখনও তোমার হতে পারিনী-
সহসা এই কথাটি যখন বুকের দরজায় ধাক্কা দেয়
অসময়ের বেহায়া বৃষ্টি
আমার দু’চোখ মাঝে জলের প্রাচীর আঁকে।
বেদনার দাহ্য বাতাস
ভালোবাসার শরীরে এঁকে দেয় বিষাদের সন্ধ্যা।
কান্নার সানাইয়ে খসে পড়ে যৌবনের সুবর্ণ তট।
একাকীত্বের অভিধান ভরে যায় নষ্ট শব্দে।
কংক্রিট অভিমানে মৃত্যুর সীমানায় পা রাখে নস্টালজিয়া মন।
কখনও তোমার হতে পারিনী-
এই নির্মমতার চাবুকে,
ক্লান্ত পায়ে হেঁটে যাই অদৃষ্টের পথে।
জীবন ক্যাম্পাসের বসন্ত মিছিলে
ভিসুভিয়াসের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহুর্তে।
পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সঞ্চিত স্বপ্ন।
একটা ব্রেকহীন গাড়ি হয়ে দিকবিদিক ছুটে চলি
অবিশ্বাসের যন্ত্রনায়।
নেশার সঙ্গমে মাতাল ভুমিকায়
গলাটিপে হত্যা করি সুখ সন্তান।
স্বপ্নের কাজলে আঁকা পবিত্র ভাবনাগুলো
চোখের দরজায় দোজখের আগুন হয়ে
কড়া নাড়ে বারবার।
কখনও তোমার হতে পারিনী-
এই ব্যর্থতার অভিযোগে
কারো দুয়ারে বিন্দু পরিমাণ ঠাঁই হয়নী আমার।
মিথ্যা অভিযোগের ভুল সমাধানে
পিষ্ট হতে হতে আমি এখন ইনসোমনিয়াই আক্রান্ত।
বিশ্বাসের আদিখ্যেতায় জন্ম নিয়েছে বিকলাঙ্গ করোটিক স্নায়ুর।
বিশ্বাসঘাতক উপাধির বিষে মৃত্যু হয়েছে পবিত্র আত্মার।
অথচ কখনও তোমার হতে পারিনী-
এই সুনিপুণ ছলনার কারুকাজে
তুমি কত সহজেই আমাকে বানিয়েছ প্রতারক
আর তুমি সেজেছ দেবী।
কিন্তু দেবী, আমিত কস্মিন কালেও তোমাকে ভুলে
অন্য পথে হাঁটতে চাইনী।
আমিত সারাটি জীবন তোমার হাতে হাত রেখে
চলতে চেয়েছিলাম ভালোবাসার সমান্তরাল পথে।
নিজের স্বার্থের জন্য আমার প্রতি এতটা নির্দয় না হলেও পারতে?
এখন তোমার সাজানো
মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিয়ে
প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর পথে।
মিথ্যা কলংকের খোলসে ঢাকা জীবনটা
তোমার সুখে উৎসর্গ করে গেলাম দেবী!
আমিহীন পৃথিবীতে
স্বপ্নের রাজকুমার নিয়ে
তুমি ভালো থেক,! সুখে থেক! অনেক সুখে !!
Leave a Reply