✍ মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর ::
তারাভরা চাঁদের আকাশ
জোনাকজ্বলা নিঝুম রাত, কবি হাঁটছেন একা
সুনসান চারিপাশ, নীরব নিস্তব্ধ পরিবেশ
কবি হাঁটছেন আনমনা হয়ে
তার হাঁটায় ছেদ পরে গেলো
কবি থমকে দাঁড়ালেন আবারও
চকিত ফিরলেন তিনি
তাকালেন চারিদিকে, দেখলেন-
তার সামনে একদল আলোকিত মুখ
কচিকাঁচার কোলাহলে মুখরিত উঠোন
কবি দৃষ্টি প্রসারিত করলেন সম্মুখপানে
চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো নীলিম আকাশ
বাড়ির চারিপাশ, গাঁয়ের মেঠোপথ
বাঁশবাগানে পাখিদের কিচিরমিচির রব
জোনাকিদের মিটিমিটি আলোকজ্বলা রাত।
কবি দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলেন, তাকালেন আবারও
এবার ভিন্ন দৃষ্টি তার
চোখে ভেসে উঠলো শহরের ভুতুড়ে পরিবেশ
কোলাহল বিহীন মৃত শহর
আবছা আঁধার অনুভব করলেন যেন
কী যেন ভাবছেন তিনি
হঠাৎ হেসে উঠলেন কবি
কিছু ভাবছেন?
নাহ্।
তবে এমন ফ্যাকাসে দেখছি কেন আপনাকে?
কই? নাতো!
সামনে তাকিয়ে দেখুন
আমি তো সামনেই তাকিয়ে আছি
কিছু দেখছেন কী?
দেখছি তো!
কী দেখছেন?
একদল কিশোর বই হাতে স্কুলে যাচ্ছে!
আর কিছু?
ফুলেরা হাসছে!
গাছে গাছে ফলেরা দুলছে, নাচছে!
কবি ভাবুকের ভাব নিলেন আবারও
মাথাটা চুলকাতে লাগলেন
সামনে তাকালেন, কাউকে খুঁজছেন যেন
কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ। আপনি?
জী। ভালো আছি।
একটি রিপোর্ট চাই
আপনি যে কবি! রিপোর্ট দিয়ে কী করবেন?
প্রয়োজন। খুব বেশি প্রয়োজন আমার
হাসপাতালের খবর এখন ভালো
আইসোলেশনের অবস্থাও সন্তোষজনক
আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে কাউকে যেতে হচ্ছেনা
করোনা পজেটিভ সনাক্ত হচ্ছেনা আর
আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি এখন
তাই!
জী, তাই।
আলহামদুলিল্লাহ! পরিচয়টা দেবেন প্লিজ
অবশ্যই, আমি ডাক্তার রিফাত জাহান।
Leave a Reply