শিশু শিল্পী থেকে চিত্রনায়িকা হওয়া প্রার্থনা ফারদিন দীঘি কাজ করছেন নিয়মিত। সম্প্রতি তিনি ওজন কমানোর মিশনেও নেমেছেন। কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বললেন দেশ রূপান্তরের সঙ্গে।
সাম্প্রতিক কাজ কেমন চলছে?
এই মুহূর্তে কিছু ফটোশুটের কাজ করছি, মডেলিংয়ের কাজ করছি। আমার পারিবারিক কিছু ইভেন্ট নিয়েও ব্যস্ত আছি। এর বাইরে কিছু নতুন কাজও শুরু করব। সেগুলো সামনে জানিয়ে দিবো। আগামী মাসেই নতুন সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। তবে সেই কাজটা নিয়ে এই মুহূর্তেই কিছু বলতে চাই না।
শুনলাম ওজন কমাতে জিমে যাচ্ছেন ইদানিং….
এ যাবৎ মানুষের অনেক কথাই তো শুনতে হয়েছে। অবশ্য তারা আমাকে পছন্দ করে বলেই এমনটা বলছে। এবার শরীরচর্চায় ফোকাস করছি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মন ভালো থাকে, আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। নতুন জিম সেন্টারটি ধানমন্ডিতে অবস্থিত। গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে নিয়মিত জিম করছি। দৈনিক দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় দিতে হচ্ছে। বেশ সুফল পাচ্ছি। একজন ট্রেনারের নিয়ন্ত্রণে আছি। তার পরামর্শে খাবার তালিকায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তিনি আমাকে একটা ডায়েট চার্ট দিয়েছেন। খুবই সীমিত খাবার। শুরুতে একটু কষ্ট লাগলেও হলেও ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছি। শিগগির সুফল পাবো।
‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায় সিনেমা’র কি খবর?
আমার ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমার কাজ প্রায় শেষ। অল্প একটু কাজ বাকি আছে, সেটার শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল। সরকারি অনুদানের ছবি প্রথম করছি, সেই অনুসারে অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। পরিচালক আব্দুস সামাদ খোকনও আমাকে অনেক আদর করেন। ওনার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে পরিবারের সঙ্গে কাজ করছি। আর চরিত্র নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসটা যারা পড়েছেন তারা জানেন চরিত্রটা কেমন। তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন, বিতর্ক থামেনি এখনো…
এবারের নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিয়েছিলাম। নির্বাচন তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আর নির্বাচনী বিতর্ক নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আমার কাজ ছিল ভোট দেওয়া আমি ভোট দিয়ে এসেছি। আর আমার বাবাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কিন্তু হেরে গিয়েছেন তাতে আমার কোনো আফসোস কাজ করে না। কারণ হারজিত থাকবেই। যিনি বিজয়ী হয়েছেন তার জন্য শুভ কামনা থাকল।
ইন্ডাস্ট্রির দুরবস্থায় ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা হয় কী?
আমি যখন ছোট বেলায় অভিনয় করেছি তখন ইন্ডাস্ট্রির রমরমা অবস্থা ছিল। এখন ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা তেমন ভাল না। তবে আমি বিশ্বাস করি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা আবারো ভালো হয়ে যাবে তাই আমি আমার দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্যারিয়ার নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই। কোনো পরিস্থিতিই কিন্তু স্থির থাকে না। খারাপ ভালো মিলিয়েই সময় যায়। তো খারাপ সময় যেহেতু গেছে এখন ভালো সময় আসবে। সেই প্রত্যাশাতেই কাজ করতে চাই। আর আমার প্রথম সিনেমা যেহেতু তেমন ভালো যায়নি তাই এখন সিনেমা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকছি। এখন সিনেমা হাতে নেওয়ার সময় দেখি আমার ক্যারেক্টারটা কি, গল্পটা ভালো কিনা, কো আর্টিস্ট, ডিরেক্টর, প্রোডাকশন-সব কিছুই খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি। আমার সামনের কাজগুলো দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবেন।
Leave a Reply